পতেঙ্গার ব্যবসায়ী ইলিয়াছ সওদাগর প্রকাশ গাভী ইলিয়াছের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলেছেন একই এলাকার নাগরিক নুরুল আবছার। আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) জেলা প্রশাসকের কাছে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পতেঙ্গার নেভালে ভাই ভাই স্টোর নামক দোকান থেকে বাসায় ফেরার সময় ১৬নং চাইনিজ ঘাট সংলগ্ন এলাকায় পূর্বপরিকল্পনানুযায়ী নুরুল আবছারের উপর হামলা চালায়।
ভুক্তভোগী নুরুল আবছার বলেন, সন্ত্রাসীরা প্রথমে একটি সাদা রঙের পিকাপ দিয়ে আমার গাড়ির সামনে ব্যারিকেড দিয়ে আমার গাড়ির গতিরোধ করে এবং আমাকে বামে চাপদিয়ে দাঁড় করানোর চেষ্টা করে, আমার গাড়ির গতি কমলে আমি কোনকিছু বুঝে ওঠার আগেই জলদস্যু সন্ত্রাসী গাভী ইলিয়াছের ১৫ থেকে ২০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী পূর্বপরিকল্পনানুযায়ী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার গাড়িতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র (লোহার রট, সাবল) দ্ধারা অতর্কিত হামলা শুরু করে। হামলাকারীদের গাড়িটি খয়েরি রঙের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার চট্টমেট্রো গ—১২—৯০৫০। পথিমধ্যে বামথেকে আমার গাড়িকে ডান পার্শ্বে চাপদিয়ে আবার আমার গাড়ির গতিরোধ করার চেষ্টা করে এবং গাড়ির ভিতর থেকে গাড়ির গ্লাসের ফাঁকদিয়ে পিস্তল তাক করে আমাকে গুলি করার চেষ্টাকরে তৎক্ষণাৎ আমি আমার ড্রাইভারকে গাড়ি ব্রেক করতে বলি। আমার ড্রাইভার গাড়ি ব্রেক করলে সন্ত্রাসীদের গাড়িটি সামনে চলে যায় এবং আমি বামে ভি.আই.পি রোডের দিকে
টার্ন নিয়ে গাড়ির গতি বাড়িয়ে খুনের পরিকল্পনাকারী সন্ত্রাসীদের কোন রকম নিজেকে প্রাণে রক্ষা করে ভিআইপি রোড হয়ে পতেঙ্গা মডেল থানায় পৌঁছায় এবং হত্যার পরিকল্পিত ঘটনার বিষয়টি পতেঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু জাহেদ মো. নাজমুন নুর সাহেবকে জানায়। ওসি সাহেব যতাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন এবং আমাকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।
অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘গত ২৬ই সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম ডি.বি. বন্দর পুলিশ চাঁদাবাজীর মামলায় গাভী ইলিয়াছকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। কিন্তু কোনো একটি অদৃশ্য শক্তির বলয়ে আদালত থেকে জামিন নিয়ে সাথে সাথে চলে আসে। পরের দিন ২৭ই সেপ্টেম্বর পতেঙ্গা ১৫নং ঘাটের জেলে মনু মিয়ার দায়ের করা মামলায় পতেঙ্গা থানা পুলিশ জলদস্যু গাভী ইলিয়াছকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করেন। উল্লেখ্য গত ১৩ নভেম্বর রাত ১১ টা ৫৪ মিনিটে ভুকভোগীর ভাইয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে চেয়ার ভাঙচুর ও শারিরীক আঘাত করে। ১৩ নভেম্বর ২০২২ইং রাত ১২:০৯ মি: ভুক্তভোগীর ভগ্নিপতি মো. ইলিয়াছের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে মোটর সাইকেলের চাবি কেড়ে নেয় এবং তাকে গালমন্দ করে। ১১ই নভেম্বর আমার বড় ভগ্নিপতি মো. ইলিয়াছকে কোন কারণ ছাড়ায় মারধর করে। ০৭ই নভেম্বর আমার বোটের মাঝি আজিজুর রহমানকে কোন কারণ ছাড়ায় মারধর করে। ২২ অক্টোবর ওয়াটার বাস টার্মিনালের সামনে গিয়ে দলবদ্ধ ভাবে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ এবং হত্যার হুমকি দেয়। ১ অক্টোবর ২০২২ইং আমার ভগ্নি পতি মো. ইলিয়াছের মাঝিকে অকারণে মেরে হাতের কব্জি ভেঙে দেয়। ১০ই মার্চ আমার ঘাটের নাইট গার্ডকে অকারণে মারধর করে।’
অভিযোগের সমস্ত হামলার সিসিটিভি ফুটেজ ভুক্তভোগীর কাছে সংরক্ষিত আছে।
Leave a Reply